বিএনপি এলে নির্বাচন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো: ইসি রাশেদা

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলে নির্বাচন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা। 

শুক্রবার বিকালে রাজশাহী সার্কিট হাউসে সিটি নির্বাচনের এক প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে আসছে না, কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী তো আরও আছেন। কেউ নাই তা না। বিএনপি এলে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো। কেউ যদি না আসে, তাহলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবেই না- এটা কি বলা যাবে? আছেন তো আরও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। আছেন না? ইলেকশনে দুর্বল কিংবা সবল প্রার্থী বলে কিছু নেই। যিনি দাঁড়ান, তিনিই সবল। সব প্রার্থীই সবল।’

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সিটি নির্বাচন কিভাবে অবাধ, সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ করতে পারি, সে বিষয়ে প্রাক-প্রস্তুতি সভা হয়েছে। এই নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে আমাদের কী করণীয় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিশেষ কিছু পাওয়া যায়নি চ্যালেঞ্জের মতো। আমাদের বিপদ ঘটে যাবে এ রকম কোনো তথ্য সভায় উঠে আসেনি। যদি কখনো এমন আসে, আমরা মোকাবিলা করব।’

ইসি রাশেদা বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি যেহেতু একটা সুন্দর নির্বাচন হবে, প্রার্থীরা আচরণবিধিটা যেন ঠিকভাবে প্রতিপালন করেন। আমি কিন্তু নির্বাচনি এলাকা ঘুরে বেড়িয়েছি। যত পোস্টার আগেই সাটানো হয়েছিল, অলরেডি অপসারণ হয়েছে। আমরা যদি আচরণবিধিটা প্রতিপালন করাতে পারি, নিশ্চয় একটা সুন্দর ইলেকশন হবে। যেকোনো ধরনের আচরণবিধি ভঙ্গ করলে আমরা সেটার ব্যবস্থা নেব। ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা থাকবে। এতে বাইরের চিত্র দেখা যাবে, কেন্দ্রের ভেতরও দেখা যাবে। বিশৃঙ্খলা হতে দেওয়া হবে না।’

নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের কোনো বাধা নেই জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, ‘সাংবাদিকদের কাজ করতে কোনো বাধা নেই। কেন্দ্রে গিয়ে তাদের প্রিসাইডিং অফিসারের অনুমতি নিতে হবে না। তবে তাকে অবহিত করতে হবে। সাংবাদিকরা ভোটকক্ষের মধ্যে যদি একসঙ্গে ১০ জন ঢুকে যান, তাহলে ভোটের পরিবেশ নষ্ট হবে। সাংবাদিকরা ভোটকক্ষের বাইরে দাঁড়িয়ে সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবেন। এতে কোনো বাধা নেই। আমরাও চাই সাংবাদিকরা ভোটের চিত্রটা জনগণের মাঝে তুলে ধরুক। আমরাও চাই সাংবাদিকরা সঠিক বিষয়টা তুলে ধরুক। না হলে আমরা ব্যবস্থা নেব কি করে?’

ইভিএমে ভোট গ্রহণে সময় বেশি লাগার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগে যে ইলেকশনগুলো হয়েছে, তখনকার মেশিন এবার থাকবে না। এখনকার মেশিনের অনেক উৎকর্ষতা রয়েছে। এগুলো আরও অনেক বেশি মোডিফাই করা হয়েছে। সময় একটু বেশি লাগে তার কারণ নারী ভোটাররা ইভিএমে ভোট দেওয়া ভুলে যায়। এ কারণে ওদের ভোট দিতে একটু দেরি হয়।’

ইভিএমে অনেকের আঙুলের ছাপ না মেলার বিষয়ে ইসি রাশেদা বলেন, ‘এ পর্যন্ত যত ভোট নিয়েছি, এক পার্সেন্টও হয় না যে তারা ভোট দিতে পারে না। মেয়েরা হাতে মেহেদি দিয়ে যায়, সে কারণে ছাপ মেলে না। কিছুক্ষণ চেষ্টা করলে আবার আসে। এটার সংখ্যা কিন্তু খুবই কম। কেউ কিন্তু বলতে পারেনি যে, সে ভোট দিতে পারেনি। আগে দুই আঙুলের ছাপ নেওয়া হতো, এখন ১০ আঙুলেরই ছাপ নিচ্ছি। একটা না একটার ছাপ মিলবে।’

 

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Comment